নিজস্ব প্রতিনিধি: মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলাধীন বদরপাশা ইউনিয়নের বিখ্যাত ৩৬ নং চরকান্দি দ্বারাদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বছরে ছয় মাসই পানি বন্দি থাকে। প্রত্যক্ষদর্শি মতে জানাযায়, পানির কারনে বিদ্যালয়টিতে পড়ুয়া কোমলমতি শিশুদের যাতায়াত মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। অতি নগণ্য পরিমাণ শিক্ষার্থী উপস্থিত হলেও সিংহভাগই অনুপস্থিত থেকে যায়। এর ফলে প্রাথমিক শিক্ষার কাঙ্খিত লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে পড়ছে অন্তত তিনটি গ্রামের শিশুরা।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাপস কুমারের সাথে কথা বলে জানাযায়, বিদ্যালয়টি ১৯৪৮ সালে ৬২ শতক জায়গার উপর স্থাপিত হয়। এখান থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী পড়াশুনা করে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ বিদেশে সুনাম অর্জন করেছে। কিন্তু সেই বিদ্যাপিঠ সময়ের সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে পরিবেশ অনুকুলে না থাকায় পিছিয়ে পড়ছে। বর্তমান পরিবেশের কারনে তুলনামূলক শিক্ষার্থী সংখ্যা কমতে শুরু করছে। এর প্রথম এবং প্রধান কারন হলো এর জলাবদ্ধতা। তিনি আরও বলেন, বাংলা আষাঢ় মাস থেকে অন্তত কার্তিক মাস পর্যন্ত বিদ্যালয়টির চারপাশে বৃষ্টির পানি জমে এমন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
এলাকাবাসী জানান বিদ্যালয়টির মাঠের আশে- পাশের তুলনায় নিচু, এর চারপাশে বাড়িঘর গুলো উচ্চতা বেশি হওয়ার কারনে প্রাকৃতিক নিয়মে বৃষ্টির পানি বিদ্যালয়সহ বিদ্যালয়ের মাঠকে জলাশয়ে পরিনত করে। জলাশয় থেকে মুক্তি পেতে হলে বিদ্যালয়ের এই মাঠ বালু বা মাটি দিয়ে ভরাট করতে হবে ।
এলাকাবাসী আরও বলেন বিদ্যালয়ের মাঠটি এমন নিচু হয়ে যাওয়ার কারনে মাঠটি পুকুরে পরিণত হয়েছে। যার ফলে কোমলমতি শিশুদের নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া খুবই কষ্টকর। তাছাড়া ছোট বাচ্চাদের এই পুকুরে ডুবে মরার আশংকাও দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা পঁচা পানিতে খেলাধুলার কারনে বহু শিক্ষার্থীদের গায়ে দেখা দিয়েছে ঘা পাঁচড়া সহ ফুসকুড়ি যা তাদের জীবনের জন্য হুমকি। জলবদ্ধতার কারনে এলাকায় দেখা দিয়েছে মশার উপদ্রপ।
স্বরজমিনে কথা বলে আরো জানাযায়, এই পানির কারনে শুধু শিক্ষার্থী নয় শিক্ষকদেরও সমস্যা হচ্ছে।বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় পাঠদানের সমস্যা দেখা দিয়েছে, প্রতিনিয়ত ডেঙ্গু র আতঙ্ক বিরাজ করে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরও বলেন আমি রাজৈর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট কয়েক বার লিখিত আবেদন করেছি কিন্তু তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি। তিনি আশা করেন হয়তো দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যালয়টির মাঠটিতে বালু ভরাটের কাজ শুরু হবে।