নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শনিবার বিকালে ঢাকায় বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব গেটে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪৭ হিজরি উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী ইসলামী বইমেলার শুভ উদ্বোধন করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
তিনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বই জ্ঞান অর্জনের প্রধান মাধ্যম। বই একটি জাতির চিন্তা-চেতনা, সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে টিকিয়ে রাখার অন্যতম হাতিয়ার। আর বইমেলা হলো সেই জ্ঞানের ভাণ্ডারকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার এক মহতী আয়োজন।
ইসলামী বইমেলা কেবল একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়, বরং ইসলামী শিক্ষা, আদর্শ ও নৈতিকতার প্রচার-প্রসারের কার্যকর ক্ষেত্র।
বইমেলার গুরুত্ব তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, এ ধরনের বইমেলা মুসলিম সমাজকে আলোকিত করতে অসামান্য ভূমিকা পালন করে।
এরূপ বইমেলা শুধু বই কেনাবেচার আয়োজন নয়, এটি জ্ঞানচর্চা, নৈতিকতার প্রসার, সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশ ও দাওয়াতি কাজের এক অনন্য ক্ষেত্রও বটে। এর মাধ্যমে সমাজে আলোকিত, নীতিবান ও দায়িত্বশীল মানুষ তৈরি করা সম্ভব। এ জাতীয় আয়োজন আরো বেশি হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান ভোগবাদী সমাজে অশ্লীলতা ও ভ্রান্ত ধারার বইপত্রের প্রভাব বেড়ে চলেছে। এক্ষেত্রে ইসলামী বইমেলা পাঠককে সত্য, ন্যায়, নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধে আকৃষ্ট হওয়ার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আঃ ছালাম খানের সভাপতিত্বে এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ধর্ম সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন ও পুস্তক প্রকাশকদের মুখপাত্র আহমেদ রফিক বক্তৃতা করেন। এসময় বাংলাদেশে মিশরের রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি উপস্থিত ছিলেন।
এ মেলায় লেখক কর্নার, ফুড কর্নার, আলোচনা সভা ও কবিতা পাঠের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মেলা উপলক্ষ্যে মাসজুড়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের স্টল, জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয়ে ইফা প্রকাশিত বই সর্বনিম্ন ৪০ শতাংশ হতে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ কমিশনে বিক্রয় করা হবে।
মাসব্যাপী এ বইমেলায় ১৯৯টি স্টল রয়েছে। এতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, দেশের স্বনামধন্য ইসলামী প্রকাশনা সংস্থা, নেতৃস্থানীয় ইসলামী পুস্তক ব্যবসায়ী ছাড়াও মিশর, লেবানন ও পাকিস্তানের প্রকাশনা সংস্থা অংশ নিয়েছেন।