রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি: রাঙামাটি জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ইমাম মেহেদীর ওপর ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার (০৫ সেপ্টেম্বর) রাতে শহরের তবলছড়ি মসজিদসংলগ্ন এলাকায় এ হামলা চালানো হয়। এ সময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা রড, হাতুড়ি, লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর জখম করে।
প্রথমে তাকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও অবস্থার অবনতি হলে গতকাল (০৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জরুরি ভিত্তিতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি নিউরোসার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি রাঙামাটি সদরের একাধিক চাঁদাবাজির ঘটনায় ভূক্তভোগীদের পক্ষ নিয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে যান জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ইমাম মেহেদী। অভিযোগ দায়েরের পরদিনই পরিকল্পিতভাবে তার ওপর হামলা চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অন্তত ২০–৩০ জন যুবক হামলায় অংশ নেয়। তাদের হাতে ছিল দেশীয় অস্ত্র, রড ও হাতুড়ি। মাথায়, পিঠে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের কারণে ইমাম মেহেদী গুরুতরভাবে আহত হন। ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মাথায় বড় ধরনের ক্ষত দেখা দেয়। সেখানে বহু সেলাই দিতে হয়েছে। পাশাপাশি প্রচুর রক্তক্ষরণ ও খিচুনি দেখা দিলে চিকিৎসকরা দ্রুত তাকে চমেক হাসপাতালে রেফার করেন। এছাড়া তার হাত ও পা ভেঙে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
শনিবার রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে ইমাম মেহেদীর পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলেন, এটি পূর্বপরিকল্পিত রাজনৈতিক হামলা। আমাদের প্রিয় সন্তানকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এই আক্রমণ চালানো হয়েছে। আমরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
তারা আরও অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা যুবদল ও পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের একটি অংশ, যারা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে।
এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার পরিবার।