মোঃ সোহেল রানা, রাঙ্গামাটি জেলা প্রতিনিধি: আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় রাঙামাটি ছাত্র-জনতার উদ্যোগে একটি বিশাল মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এই মিছিলটি আয়োজন করা হয় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সম্মুখ সারির সাহসী যোদ্ধা নুরুল হক নুরের উপর যৌথবাহিনীর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে। মিছিলটি আলিফ মার্কেট থেকে শুরু হয়ে বনরূপার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কোর্ট বিল্ডিং হয়ে আবার বনরূপায় এসে সমাপ্ত হয়। ছাত্র, যুবক, শ্রমজীবী ও সাধারণ মানুষ হাতে মশাল নিয়ে স্লোগানে স্লোগানে পুরো শহর মুখরিত করে তোলে।
মিছিল শেষে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন: “যৌথবাহিনীর বর্বরোচিত হামলা শুধু নুরুল হক নুরের উপর নয়, বরং এটি গোটা গণতন্ত্রকামী আন্দোলনের উপর নগ্ন আঘাত। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। হামলার দায় রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। অন্যথায় সারাদেশে আরও বৃহত্তর গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন “রাঙামাটি সমঅধিকারের আন্দোলন এর জেলা আহ্বায়ক” কামাল উদ্দিন, বিপ্লবী ওয়ার্কস পার্টির সাধারণ সম্পাদক জুই চাকমা, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ইমাম হোসাইন কুতুবী, ইসলামী ছাত্র শিবির রাবিপ্রবির সভাপতি মো: সাউবান, এনপিসির রাঙামাটির প্রধান সমন্বয়ক বিপিন জ্যোতি চাকমা, রাঙামাটি ছাত্র অধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি মো: ইমাম হোসাইন ইমু, রাঙামাটি গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ওয়াহিদুজ্জামান রোমান, সমাপনী বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক এম.এ বাসার।
তিনি বলেন, এই হামলা গোটা জনগণের উপর হামলা। আমরা সবাই মিলে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। তিনি আহ্বান জানান, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সকলকে আন্দোলনে শামিল হতে হবে। জুলাইয়ের পক্ষে সবাইকে এক হতে হবে।