মোঃ সোহেল রানা, রাঙ্গামাটি জেলা প্রতিনিধি;
১৯৯৬ সালে রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলায় পাকুয়াখালী নামক স্থানে ৩৬ জন কাঠুরিয়া এবং ব্যবসায়ীকে নিসংশভাবে হত্যা করে পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। যার ফলে ৩৬ টি পরিবার একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়ে। পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে বলেন তৎকালীন আমলে সরকারিভাবে তাদেরকে সহায়তা এবং পূর্ণবাসনের বিষয়ে আশ্বাস দিলেও আজ অব্দি সরকারের পক্ষ থেকে কোন সহযোগিতা এবং পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করা হয়নি। তাই তারা পাকুয়াখালীতে নিসংশভাবে হত্যার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা পাকুয়াখালী ম্যাসাকার রিকুপ ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এ সংগঠনের পক্ষ থেকে আজ রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সহিত ১ম দফার বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মহোদয় ভিকটিম পরিবার ও ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দদের যাবতীয় বক্তব্য মনোযোগ সহকারে শ্রবণ করেন।
পরবর্তীতে ২য় দফায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ শহীদ পরিবারের স্বজনদের সবার বক্তব্য শুনেন। এবং তাৎক্ষণিক ভাবে পাকুয়াখালী ম্যাসাকার রিকুপ ফাউন্ডেশনের জন্য ৫০ হাজার টাকার একটি চেক প্রদান করেন এবং দ্রুত ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম গতিশীল করতে পরামর্শ দেন। সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত স্বজন হারা পরিবারের জন্য তিনি বিশেষ ভাবে সহযোগিতার জন্যে ব্যবস্থা নিবেন এমনটাই আশ্বস্ত করেন। তিনি আরো বলেন শহীদ পরিবারের কোনো শিক্ষার্থী থাকলে তাদের লেখাপড়ার জন্য যত প্রকার সহযোগিতা প্রয়োজন করবেন।
আজ সকাল থেকে অনুষ্ঠিত প্রথম দফার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পাকুয়াখালী মেসাকার রিকুপ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও সমঅধিকার আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব জনাব রকিব হোসেন, নির্বাহী পরিচালক জনাব মো ফজর আলী, সমঅধিকার আন্দোলনের জেলা কমিটির আহ্বায়ক জনাব মো কামাল উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক ছগির আহমদ, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো নুরুল আবছার, জাহিদ মোস্তফা, জহিরুল ইসলাম, শাহীর উল হক।
পাকুয়াখালী মেসাকার রিকুপ ফাউন্ডেশনের নেতা ও আহ্বায়করা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের এই উদ্যোগকে সাদরে গ্রহণ করেছেন এবং আশাবাদ প্রকাশ করেছেন যে, এই সমন্বিত প্রচেষ্টা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুনর্বাসন এবং সংগঠনের কার্যক্রমকে শক্তিশালী করবে।
জেলা প্রশাসকের এই মানবিক উদ্যোগ স্থানীয় সমাজে প্রশংসা কুড়াচ্ছে এবং ভিকটিম পরিবার ও সংগঠনের মধ্যে নতুন উদ্যম সঞ্চার করেছে।